শুধু গ্রেফতার যুবকরাই নয়, টাঙ্গাইলের স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত ছিল। প্রথম দিন আসামি এসএম নুরুজ্জামানের বাড়িতে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হলেও পরে তাকে ওই বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে অচেতন অবস্থায় বাড়ির কাছাকাছি রেললাইনে ফেলে রাখা হয়। গণধর্ষণের মূল হোতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার মনিরুজ্জামান মনি। সে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে স্কুলপড়ূয়া তরুণীদের দিয়ে অশ্লীল নাটক ও ভিডিওচিত্র তৈরি করে আসছিল। জড়িত
অন্যদের নাম উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মধুপুর পুলিশ রিমান্ডের প্রথমদিনে এসব তথ্য দিয়েছে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামিরা। গত সপ্তাহে ইভা, মনিরুজ্জামান মনি, এসএম নুরুজ্জামান ওরফে গেদা, হারুন ও শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার ওসি মজিবর রহমান সমকালকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সব আসামি স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গোপন করা কিছু তথ্য উদ্ধারে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মধুপুরে একটি চক্র তথাকথিত নাটক, মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনের
মাধ্যমে প্রচার করে। এসব আয়োজন ও পরিচালনা করত বীথি ও এসএম নুরুজ্জামান। তারা গ্রামের অসহায় নিরীহ মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নাটকে অভিনয় করাতো। এরপর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতন চালাতো তাদের ওপর। যৌন নির্যাতনের ভিডিওচিত্র সংরক্ষণ করে রাখা হতো। ইতিমধ্যে স্থানীয় সুপ্ত কম্পিউটার থেকে অশল্গীল ভিডিও, কয়েকটি সিডি ও দুটি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, ৬ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে নুরুজ্জামানের বাড়িতে নেওয়া হয়। ওই সময় বাড়িতে ছিলেন নুরুজ্জামানের স্ত্রী ও সন্তান
অ্যাডভোকেট রাশিদা বেগম বলেন, ভারতের মানুষ যেভাবে সোচ্চার হয়েছে, আমরা সেভাবে পারিনি, এটা আমাদের দুর্বলতা।
টাঙ্গাইলে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেস বুকভিত্তিক সংগঠন জাস্টিস ফর বাংলাদেশ। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ দিকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সংগঠনের দাবি, দেশে ২০১২ সালে ৭৭১ নারী ধর্ষিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫৭ জনই গণধর্ষণের শিকার হন। সংগঠনের আহ্বায়ক আশিস সৈকত সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষিত এই সাত শতাধিক নারীর মধ্যে ১০৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ধর্ষণকারীরা। পত্রপত্রিকার বরাত দিয়ে তিনি এই পরিসংখ্যান তথ্য তুলে ধরেন।
টাঙ্গাইলে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সুচিকিত্সায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকদের সমন্বয়ে গতকাল সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে ।।
অন্যদের নাম উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মধুপুর পুলিশ রিমান্ডের প্রথমদিনে এসব তথ্য দিয়েছে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামিরা। গত সপ্তাহে ইভা, মনিরুজ্জামান মনি, এসএম নুরুজ্জামান ওরফে গেদা, হারুন ও শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার ওসি মজিবর রহমান সমকালকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সব আসামি স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গোপন করা কিছু তথ্য উদ্ধারে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মধুপুরে একটি চক্র তথাকথিত নাটক, মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনের
মাধ্যমে প্রচার করে। এসব আয়োজন ও পরিচালনা করত বীথি ও এসএম নুরুজ্জামান। তারা গ্রামের অসহায় নিরীহ মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নাটকে অভিনয় করাতো। এরপর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতন চালাতো তাদের ওপর। যৌন নির্যাতনের ভিডিওচিত্র সংরক্ষণ করে রাখা হতো। ইতিমধ্যে স্থানীয় সুপ্ত কম্পিউটার থেকে অশল্গীল ভিডিও, কয়েকটি সিডি ও দুটি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, ৬ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে নুরুজ্জামানের বাড়িতে নেওয়া হয়। ওই সময় বাড়িতে ছিলেন নুরুজ্জামানের স্ত্রী ও সন্তান
অ্যাডভোকেট রাশিদা বেগম বলেন, ভারতের মানুষ যেভাবে সোচ্চার হয়েছে, আমরা সেভাবে পারিনি, এটা আমাদের দুর্বলতা।
টাঙ্গাইলে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেস বুকভিত্তিক সংগঠন জাস্টিস ফর বাংলাদেশ। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ দিকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সংগঠনের দাবি, দেশে ২০১২ সালে ৭৭১ নারী ধর্ষিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫৭ জনই গণধর্ষণের শিকার হন। সংগঠনের আহ্বায়ক আশিস সৈকত সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষিত এই সাত শতাধিক নারীর মধ্যে ১০৬ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ধর্ষণকারীরা। পত্রপত্রিকার বরাত দিয়ে তিনি এই পরিসংখ্যান তথ্য তুলে ধরেন।
টাঙ্গাইলে গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর সুচিকিত্সায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকদের সমন্বয়ে গতকাল সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে ।।